Summary
ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে পদার্থবিজ্ঞানে নানা অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় বিজ্ঞানীরা নতুন তত্ত্ব নিয়ে আসতে থাকেন। 1803 সালে ডাল্টন প্রমাণ করেন পরমাণু তত্ত্ব, 1897 সালে থমসন পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন আবিষ্কার করেন এবং 1911 সালে রাদারফোর্ড নিউক্লিয়াসের পজিটিভ চার্জের অস্তিত্ব চিহ্নিত করেন। তবে নিউক্লিয়াস ঘিরে ইলেকট্রনের মডেল ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়নি। 1900 সালে ম্যাক্স প্লাঙ্ক কোয়ান্টাম তত্ত্ব চালু করেন, যা পরমাণুর স্থিতিশীলতা ব্যাখ্যায় সাহায্য করে। সত্যেন্দ্রনাথ বসু কোয়ান্টাম সংখ্যা দিয়ে মৌলিক কণার নামকরণ করেন। 1900 থেকে 1930 সালের মধ্যে কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা পায়। মাইকেলসন ও মোরলি ইথারের অস্তিত্ব খুঁজতে গিয়ে প্রমাণ করেন যে ইথার নেই। 1905 সালে আইনস্টাইন এর থিওরি অব রিলেটিভিটি আলোর বেগের ব্যাখ্যা দেয় এবং E=ম স্রোত সূত্র উপস্থাপন করে। 1931 সালে ডিরাক প্রতি পদার্থের অস্তিত্ব ঘোষণা করেন। 1895 সালে রন্টজেন এক্স-রে আবিষ্কার করেন এবং 1896 সালে বেকেরেল তেজস্ক্রিয় বিকিরণের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন। 1899 সালে পিয়েরে ও মেরি কুরি রেডিয়াম আবিষ্কার করে পরমাণুর অবিনশ্বরতা নিয়ে নতুন ধারণার সূচনা করেন।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই বিজ্ঞানীরা দেখতে লাগলেন প্রচলিত পদার্থবিজ্ঞান দিয়ে অনেক কিছু ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না। 1803 সালে ডাল্টন পারমাণবিক তত্ত্ব দিয়েছেন, 1897 সালে থমসন সেই পরমাণুর ভেতর ইলেকট্রন আবিষ্কার করেছেন, 1911 সালে রাদারফোর্ড দেখিয়েছেন, পরমাণুর কেন্দ্রে খুবই ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াসে পজিটিভ চার্জগুলো থাকে।
কিন্তু দেখা পেল নিউক্লিয়াসকে ঘিরে ঘুর ইলেকট্রনের মডেলটি কোনোভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না, কারণ বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় সূত্র অনুযায়ী এই অবস্থায় ইলেকট্রন তার শক্তি বিকীরণ করে নিউক্লিয়াসের ভেতর পড়ে যাবে কিন্তু বাস্তবে তা কখনো ঘটে না। 1900 সালে ম্যাক্স প্লাঙ্ক কোয়ান্টাম তত্ত্ব আবিষ্কার করেন, এই তত্ত্ব ব্যবহার করে পরবর্তীতে পরমাণুর স্থিতিশীলতা ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়েছিল। বিকিরণ সংক্রান্ত কোয়ান্টাম সংখ্যায়ন তত্ত্বের সঠিক পাণিতিক ব্যাখ্যা দিয়ে প্রফেসর সত্যেন্দ্রনাথ বসু পদার্থবিজ্ঞানের জগতে যে অবদান রেখেছিলেন, তার স্বীকৃতিস্বরূপ একশ্রেণির মৌলিক কণাকে বোজন নাম দেওয়া হয়। 1900 থেকে 1930 সালের এই সময়টিতে অনেক বড় বড় বিজ্ঞানী মিলে কোয়ান্টাম তত্ত্বটিকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের বাহক হিসেবে ইথার নামে একটি বিষয় কল্পনা করে নেওয়া হয়েছিল এবং 1887 সালে মাইকেলসন ও মোরলি তার অস্তিত্ব আবিষ্কার করার চেষ্টা করে দেখান যে প্রকৃতপক্ষে ইথার বলে কিছু নেই এবং আলোর বেগ স্থির কিংবা গতিশীল সব মাধ্যমে সমানা 1905 সালে আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি থেকে এই বিষয়টির ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। থিওরি অব রিলেটিভিটি থেকেই সর্বকালের সবচেয়ে চমকপ্রদ সূত্র E=বের হয়ে আসে, যেখানে দেখানো হর বস্তুর ভরকে শক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব।
কোয়ান্টাম তত্ত্বের সাথে থিওরি অব রিলেটিভিটি ব্যবহার করে ডিরাক 1931 সালে প্রতি পদার্থের (Anti Particle) অস্তিত্ব ঘোষণা করেন, যেটি পরের বছরেই আবিষ্কৃত হয়ে যায়।
1895 সালে রন্টজেন এক্স-রে আবিষ্কার করেন। 1896 সালে বেকেরেল দেখান যে পরমাণুর কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে। 1899 সালে পিয়ারে ও মেরি কুরি রেডিয়াম আবিষ্কার করেন এবং বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন পরমাণুগুলো আসলে অবিনশ্বর নয়, সেগুলো ভেঙে ভেজস্ক্রিয় বিকিরণ হতে পারে।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
Read more